স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর যুবলীগনেতা জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিলানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানকে গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পিপি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, মহানগর যুবলীগ নেতা জিলানী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি কাউন্সিলর আবুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন।
সোমবার জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, এ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামি কুসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারকে গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে হত্যাকান্ডের বিষয়ে কাউন্সিলর আবুল হাসানকে রিমান্ড চাইব।
পাশাপাশি পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ মামলার প্রধান দুই আসামি কাউন্সিলর হাসান ও সাত্তার গ্রেফতার হলেও তাদের সহযোগী পলাতক আসামি ও তাদের লোকজন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে মামলার সব আসামিদের গ্রেফতার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ নভেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা জিলানীকে নগরীর চৌয়ারা পুরাতন বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কাউন্সিলর আবুল হাসানকে ১ নম্বর ও আবদুস সাত্তারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। থানা পুলিশের পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।